ফ্রেশ ভা’র্জিন ছেলেকে বিয়ে করতে চান অপু বি’শ্বাস

শাকিব খানকে স’ঙ্গে ছাড়াছাড়ির
পর ঢালিউড কুইন খ্যাত চিত্রনায়িকা অ’পু বিশ্বা’স এখন সি’ঙ্গেল মা’দার। ভক্তরা অনেকেই জানতে চান অ’পু কী আবারও বিয়ে করবেন নাকি সি’ঙ্গেল মা’দার হিসেবেই থাকবেন।প্রতিনিয়ত এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হন অ’পু।এনিয়ে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অ’পু ভবি’ষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।অ’পু জানান, ‘আমা’র ভবি’ষ্যৎ পরিকল্পনা অবশ্যই আছে। প্রফেশনাল ও ব্যক্তিগত দুটি জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পরিকল্পনা সবার থাকে। তেমনি আমা’রও পরিকল্পনা আছে। সেটা সুন্দরভাবে, বিতর্কিতভাবে নয়। এজন্য অনেকটা সময় অ’পেক্ষা করতে হবে।উপস্থাপক সরাসরি জানতে চান কতদিনের মধ্যে বিয়ে করতে যাচ্ছেন? এ প্রস’ঙ্গে অ’পু বলেন বিয়ের বি’ষয়টি আমা’র পরিবার দেখছে। বর অনেকেই দেখছে। তাতে দেখা গেছে কারও বেবি আছে, আবার কারো পরিবার আছে।এগু’লো আমা’র পছন্দ নয়। তবে আমি সি’দ্ধান্ত নিয়েছি বিবাহিত কাউকে বিয়ে করব না। অবিবাহিত কাউকে আমি বিয়ে করে নেব।অ’পু বিশ্বা’স অ’ভিনীত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’র শুটিং শেষ। সিনেমাটি মুক্তির অ’পেক্ষায় রয়েছে। দেবাশীষ বিশ্বা’স পরিচালিত এই সিনেমায় অ’পুর বিপরীতে অ’ভিনয় করেছেন বাপ্পি চৌধুরী। এছাড়া কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর লেখা ‘শর্টকাট’ নামে আরেকটি সিনেমায় অ’ভিনয় করেছেন অ’পু। সুবীর মণ্ডল পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে অ’ভিনয় করছেন পরমব্রত চ্যাটার্জি। সিনেমাটি মুক্তির অ’পেক্ষায় রয়েছে। আরো পড়ুন শেখ হাসিনার কাছে নতুন আবদার করলেন মোদি কূটনৈতিক সূত্রগু’লো দ্য প্রিন্টকে বলেছে, আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা বাস্তবায়নের পর গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারত সফরে যান, তখনই বাংলাদেশ সরকার একই ধরনের একটি দাবি জানিয়েছিল।সূত্র বলছে, সেই সময় বাংলাদেশকে ভারত মৌখিকভাবে আশ্বা’স দিয়েছিল যে, আসামে এনআরসি বাস্তবায়নের পর যারা বিদেশি হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে না। তবে লিখিত আশ্বা’স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামে এনআরসি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হলে অ’ভিবাসীদের সীমা’ন্তের এপারে পাঠানো হবে না; ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে এমন নিশ্চয়তার লিখিত আশ্বা’স চেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য প্রিন্ট বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রিন্ট বলছে, ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) ইস্যুতে নয়াদিল্লির প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘নমনীয়’ অবস্থান ঘিরে সমালোচনার মাঝে এ পদে’ক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চলতি মাসে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে, আইনে অবৈ’ধ হিসেবে চিহ্নিত মুসলিম অ’ভিবাসীদের বাংলাদেশ সীমা’ন্তে পুশ ইন করতে পারে ভারত।আইনটি পাস হয়ে যাওয়ার পর কূটনৈতিক সূত্রগু’লো বলছে, বর্তমানে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর আ’দালতের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, যে কারণে লিখিত আশ্বা’স দেয়া কঠিন হবে না। তবে তারা বলছেন, এ ধরনের সার্বভৌম নিশ্চয়তা দিয়ে কোনো ধরনের আশ্বা’স নয়াদিল্লি ঢাকাকে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকার গত ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০১৪ সালে দেশটিতে ক্ষমতায় আসার পর এমন তীব্র বিক্ষোভ এবং বিরোধিতার মুখে প্রথমবারের মতো পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, বৌ’দ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি এবং জৈন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সে দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের ব্যাপারে একই ধরনের বিধান রাখা হয়নি।সমালোচকরা বলেছেন, ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ধ’র্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ভারতে বিভাজন তৈরি করতে এ নতুন নাগরিকত্ব আইন তৈরি করেছে; যা ভারতের ধ’র্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।বিতর্কিত এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে কিছু না বলায় ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তবে বিক্ষোভের দাবানল বেশি ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিক্ষোভকারীদের স’ঙ্গে পু’লিশের সং’ঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।অভ্যন্তরীণ বি’ষয় গত রোববার বাংলাদেশ সীমা’ন্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) প্রধান শাফিনুল ইসলাম বাংলাদেশ-ভারত সীমা’ন্তরক্ষীবাহিনী ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে বিজিবির একটি প্রতিনিধিদল-সহ ভারতে যান। সেখানে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির প্রধান বলেন, এনআরসি ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বি’ষয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স’ঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও নয়াদিল্লির কাছ থেকে দৃঢ় আশ্বা’স না পাওয়ার ব্যর্থতায় দেশের ভেতরে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার।বাংলাদেশ সরকারের জন্য এই পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে গেছে গত নভেম্বরে। ওই মাসে বে’ঙ্গালুরু থেকে ৬০ অবৈ’ধ বাংলাদেশিকে আট’কের পর ঢাকায় পাঠানোর জন্য কলকাতায় নেয়া হয়। এছাড়া গত পাঁচ বছরে অবৈ’ধভাবে বসবাসের অ’ভিযোগে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ মহারাষ্ট্র থেকে অন্তত ১ হাজার ৪৭১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।চলতি মাসের শুরুর দিকে আসামের গু’য়াহাটিতে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিকের ওপর হা’মলা হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারত সফর বাতিল করেছেন। তবে দুই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের স’ঙ্গে বৈঠক স্থগিতে এনআরসি কিংবা সিএএর কোনো সম্পর্ক নেই।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *