১৭ ব’ছরে এক ও’য়া’ক্তও না’মা’জ বাদ দে’ননি পু’লি’শ ক’র্মক’র্তা!

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক পু’লিশ বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে৷ গু’’টিকয়েক পু’লিশ সদস্যের নীতিভ্রষ্টতার কারণে এমন অ’ভিযোগ পুরো পু’লিশ বাহিনীর উপর এসে পড়ে৷ তবে এর পেছনে নাগরিক সমাজের ভূমিকাও কম দায়ী নয়। নতুন খবর হচ্ছে, সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় বৃহস্পতিবারের ভ’য়াব’হ অ’’গ্নিকা’ণ্ডের ধ্বং’সস্তূপ থেকে লা’শ উ’’দ্ধার করে শুক্রবার বিকেলে ম’র্গে আনা হয়। ঢামেক মর’্গে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে লা’শ নিয়ে আসার আগে থেকে দুই প্লাটুন পু’লিশ মোতায়েন করা হয়। ম’রদে’হের সুরতহাল রিপোর্ট যেখানে করা হয় সেখানে কে’উবা বাইরে অ’পেক্ষা করছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জে’লার পু’লিশ সুপার ও অতিরিক্ত জে’লা প্রশাসকও ছুটে আসেন। চারদিকে আহাজারি, হৈ’চৈ ও হ’ট্টগোল পরিবেশের মধ্যে বিকেল আ’নুমানিক ৫টার দিকে এ প্রতিবেদকের চোখ পড়ে ম’র্গে’র চৌহদ্দিতে সুরতহাল কক্ষের লম্বা বে’ঞ্চিতে বসে নামাজরত একজন পু’লিশ সদস্যদের দিকে। ৩০ জন পু’লিশ সদস্য সেখানে বসে থাকলেও কারও মুখে কোনো কথা নেই, সবাই চুপচাপ বসে আছে। নামাজ শেষ করেই ওই পু’লিশ সদস্য মোবাইল ফোনের অ’পর প্রান্তে থাকা কারও কাছে রূপগঞ্জের ঘ’টনার সর্বশেষ পরি’স্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন ও কিছু দিকনির্দেশনা দিলেন। একটু ভালো করে খেয়াল করতেই তার পোশাক ও র্যাংক ব্যাচ দেখে বোঝা গেল তিনি থা’নার ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তা পদমর’্যাদার (ওসি)। একটু সামনে গিয়ে এ প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলেন। এহে’ন পরিস্থিতিতেও নামাজরত অবস্থায় তাকে দেখে ভালো লাগলো এ কথা বলতেই তিনি কিছুটা ‘বি’ব্রত’ হলেন। জানালেন তিনি রূপগঞ্জ থা’নার ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তা (ত’দন্ত), নাম হু’মায়ুন আহমেদ। অ’’গ্নি’কা’ণ্ডের কারণে গতকাল থেকে ব্যস্ত সময় কা’টাচ্ছেন। আলাপকালে তিনি জানান, পু’লিশের চাকরি করি, কখন কোথায় যাই তার কোনো ঠিক ঠিকানা নাই। সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয় বলে বাসায় গিয়ে নামাজ পড়ার সময় হয় না। তাই ডিউটিরত কিংবা অন্যকোনো কাজে যেখানেই থাকেন না কেন, ওয়াক্ত হলে সেখানেই নামাজ পড়ে নেন। ১৭ বছরে এক ওয়াক্তও নামাজ বাদ দেননি তিনি।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *